এজমা বা হাপানী একটি দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগ, যা শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন কাশি, বুকে চাপ ও শীৎকার (wheezing) সৃষ্টি করে। এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
হাঁপানি হল একটি ফুসফুসের (ফুসফুসের) অবস্থা যেখানে আপনার শ্বাসনালী সরু এবং ফুলে যায়, ফলে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়, যার ফলে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়। কিছু লোকের একটি ছোট সমস্যা হিসাবে শুরু হতে পারে, অন্যদের মধ্যে; এটি প্রাণঘাতী হাঁপানির আক্রমণ হতে পারে।
এটি শ্বাসনালী সংক্রাংত রোগ, শ্বাসনালী হল টিউব যা ফুসফুসের ভিতরে এবং বাইরে বায়ু প্রেরণ করে। যাদের হাঁপানি আছে তাদের শ্বাসনালীতে ময়লা জমে সমস্যা তৈরি হয়ে গেছে। প্রদাহের কারণে শ্বাসনালীর alveolus গুলি ফুলে যায় এবং এটি খুব সংবেদনশীল করে তোলে। শ্বাসনালীতে কিছু নির্দিষ্ট শ্বাস-প্রশ্বাসের পদার্থের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রবণতা রয়েছে।
যখন শ্বাসনালী প্রতিক্রিয়া করে, তখন তাদের চারপাশের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়। এটি শ্বাসনালীকে সঙ্কুচিত করে, যার ফলে ফুসফুসে বাতাসের প্রবাহ কম হয়। প্রদাহ আরও বাড়তে পারে, যার ফলে শ্বাসনালী আরও সরু হয়ে যায়। শ্বাসনালীতে কোষগুলি শ্লেষ্মা বৃদ্ধির পরিমাণ তৈরি করতে পারে। শ্লেষ্মা একটি আঠালো নিঃসরণ যা অতিরিক্তভাবে শ্বাসনালীকে সংকুচিত করতে পারে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলাফল হাঁপানি হতে পারে এবং শ্বাসনালী ফুলে যাওয়ার সময় উপরে উল্লিখিত সমস্ত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
মূল কারণ
জেনেটিক (বংশগত) প্রবণতা
অ্যালার্জি বা এলার্জিক প্রতিক্রিয়া
পরিবেশ দূষণ
ধূমপান বা পরোক্ষ ধূমপান
ঠাণ্ডা বা ভাইরাল ইনফেকশন
আনুষঙ্গিক কারণ
জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা
আবহাওয়া পরিবর্তন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
ধুলো, পুষ্পরেণু, পশুর লোম ইত্যাদির সংস্পর্শ
নির্দিষ্ট খাদ্যের অ্যালার্জি (যেমনঃ ডিম, দুধ, ঝাল খাবার)
এজমা একটি গুরুতর শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগ হলেও সঠিক জীবনশৈলী, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও যথাযথ চিকিৎসায় রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে ইনশাআল্লাহ।