
১) Teucrium Marum verum : গুড়া ক্রিমি বা সুতা ক্রিমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম। পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে।
২) Spigelia anthelmia : হ্যানিম্যানের সময় স্পাইজেলিয়া কৃমির এলোপ্যাথিক এবং কবিরাজি ঔষধরূপে পরিচিত ছিল। হ্যানিম্যান যখন এটি দিয়ে হোমিও ঔষধ তৈরী করে পরীক্ষা করলেন, তখন দেখলেন যে কৃমির ঔষধ হিসাবে তার সুনামের বিষয়টি সঠিক। এটি সব ধরনের কৃমি, এমনকি ফিতাকৃমি পযর্ন্ত নিমূর্ল করতে পারে। অবশ্য কৃমির সমস্যা ছাড়াও হোমিওপ্যাথিতে এটি আরও অনেক রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে একটি বড় রোগ হলো মাইগ্রেন বা অর্ধেক মাথা ব্যথা।
৩) Sabadilla officinarum : স্যাবাডিলাকে বলা যায় ক্রিমির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট একটি ঔষধ। স্যাবাডিলা ঔষধটি ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়; কেননা সেবাডিলা ঔষধটি খাওয়ার পরে কৃমিরা পাগলের মতো দৌঁড়াতে শুরু করে এবং এসময় তারা মেয়েদের যোনী এবং জরায়ুতে ঢুকে পরে মারাত্মক বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।
৪) Natrum Phosphoricum : নেট্রাম ফস শিশুদের কৃমির জন্য সেরা ঔষধগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি এটি শিশুদের অজীর্ণ, বদহজম, এলার্জি, চুলকানি, পেটে ব্যথা, সর্দি, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যার জন্যও একটি সেরা ঔষধ। এটি শিশুদের জন্য একটি ভিটামিন হিসেবেও কাজ করে থাকে। (এই ঔষধটিও ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।)
৫) Cina : বদমেজাজী শিশুদের ক্রিমির সমস্যায় সিনা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। শিশুরা আঙুল দিয়ে নাক খোচাতে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে দাঁত কটমট করে।
৬) Santoninum : সেন্টোনিনাম গুড়া ক্রিমি এবং সুতা ক্রিমির সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ।
৭) Caladium seguinum : গুড়া ক্রিমি ছোট মেয়েদের যৌনাঙ্গে ঢুকে উৎপাত সৃষ্টি করলে ক্যালাডিয়াম খাওয়াতে ভুলবেন না।
৮) Indigo : ইন্ডিগো কৃমির উৎপাতের ক্ষেত্রে একটি ভালো ঔষধ। কৃমির কারণে মৃগীর আক্রমণ, খিচুঁনি অথবা জ্বর হলে ইন্ডিগো ব্যবহার করতে পারেন।
৯) Carcinosinum : যাদের ঘনঘন কৃমি হয় অর্থাৎ যাদের কৃমির সমস্যা খুব বেশী, তাদের কৃমি প্রবনতা দূর করার জন্য কার্সিনোসিন (শক্তি ২০০) পনের দিনে একমাত্রা করে চার বার খান। ক্যান্সারের ঔষধ কার্সিনোসিনে যেহেতু কৃমি নিরাময় হয়, সেহেতু বলা যায় মাত্রাতিরিক্ত কৃমির উৎপাত ক্যান্সারের একটি পূর্ব লক্ষণ।
১০) Calcarea Carbonica : মোটা থলথলে শারীরিক গঠন, পা সব সময় ঠান্ডা থাকে, শিশুকালে দাঁত উঠতে বা হাঁটা শিখতে দেরী হয় থাকে, শরীরের চাইতে পেট বেশী মোটা, খুব সহজে মোটা হয়ে যায়, প্রস্রাব-পায়খানা-ঘাম সব কিছু থেকে টক গন্ধ আসে, হাতের তালু মেয়েদের হাতের মতো নরম (মনে হবে হাতে কোন হাড়ই নেই), মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়, মুখমন্ডল ফোলাফোলা, ডিম খেতে খুব পছন্দ করে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যালকেরিয়া কাব হবে তার সবচেয়ে উত্তম ক্রিমির ঔষধ।
১১) Sulphur : সালফার একটি বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ। গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে রোগীকে সালফার খাওয়াতে পারেন।
১২) Terebinthina : টেরিবিনথিনা ক্রিমির একটি সেরা ঔষধ। পাশাপাশি এটি সর্দি, গ্যাসট্রিক আলসার এবং লো প্রেসারেরও চিকিৎসায় সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়।
সংগৃহীত