হৃৎপিণ্ড অধিকাংশ প্রাণীতে একটি পেশীবহুল অঙ্গ, যা পৌনঃপুনিক ছন্দময় সংকোচনের মাধ্যমে সংবহনতন্ত্রের রক্তনালির মধ্য দিয়ে সারা দেহে
রক্ত পাম্প করে। পাম্পকৃত রক্ত দেহে অক্সিজেন ও পুষ্টি পদার্থ বহন করে নিয়ে যায়, আর ফুসফুসে বিভিন্ন বিপাকজাত বর্জ্য, যেমন- কার্বন ডাই
অক্সাইড বহন করে নিয়ে আসে। মানুষের দেহে, হৃৎপিণ্ডের আকার প্রায় একটি বদ্ধ মুষ্টির সমান এবং এটি বুকের মধ্য প্রকোষ্ঠতে ফুসফুস দুটির মাঝখানে অবস্থিত।
হৃৎপিণ্ডের কার্যপদ্ধতি
হৃৎপিণ্ডের ডান অংশের কাজ হল পুরো দেহ হতে ডান অলিন্দে অক্সিজেন-শূন্য রক্ত সংগ্রহ করা এবং ডান নিলয়ের মাধ্যমে তা পাম্প করে ফুসফুসে
(পালমোনারী সংবহন) প্রেরণ করা, যাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড রক্ত হতে নিষ্কাশিত এবং অক্সিজেন যুক্ত হতে পারে (বায়ু বিনিময়)।
এই বায়ু আদান-প্রদান অক্রিয় ব্যাপনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। হৃৎপিণ্ডের বাম অংশ অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস হতে বাম অলিন্দে গ্রহণ করে।
বাম অলিন্দ হতে রক্ত বাম নিলয়ে স্থানান্তরিত হয় এবং সারা দেহে সঞ্চারিত হয়। দুই দিকেই, উপরের অলিন্দগুলো হতে নিচের নিলয়গুলোর দেয়াল
পুরু ও শক্তিশালী। আবার ডান নিলয়ের দেয়াল হতে বাম নিলয়ের দেয়াল বেশি পুরু, কারণ সিস্টেমিক সংবহনে রক্ত সরবরাহ করতে আরও বেশি
শক্তির প্রয়োজন হয়।ডান অলিন্দ হতে রক্ত ট্রাইকাস্পিড কপাটিকার ভেতর দিয়ে ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। এখান থেকে রক্ত ফুসফুসীয় সেমিলুনার
কপাটিকার ভেতর দিয়ে বেরিয়ে ফুসফুসীয ধমনী দিয়ে ফুসফুসে পৌছে। ফুসফুস হতে রক্ত ফুসফুসীয় শিরা দিয়ে বাম অলিন্দে যায়।
সেখান থেকে রক্ত বাইকাস্পিড কপাটিকার ভেতর দিয়ে বাম নিলয়ে প্রবেশ করে। বাম নিলয় এই রক্তকে এ্যাওটিক সেমিলুনার ভাল্বের ভেতর দিয়ে
মহাধমনীতে পাম্প করে পাঠায়। মহাধমনী কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয় এবং এইসব প্রধান শাখা ধমনী দিয়ে রক্ত সারা দেহে সঞ্চালিত হয়।
রক্ত ধমনী হতে তার চেয়ে সরু ছোট ধমনীতে (arterioles) প্রবেশ করে এবং শেষ পর্যায়ে আরও ক্ষুদ্র কৈশিকনালীর মাধ্যমে
কোষে পৌছায়। এরপরে অক্সিজেন-শূণ্য রক্ত ছোট শিরার (venules) ভেতর দিয়ে গিয়ে শিরায় পৌছায়। এইসব শিরা পরে সুপিরিয়র ও
ইনফিরিয়র ভেনাকেভা তৈরি করে শেষ পর্যন্ত ডান অলিন্দে পৌছায় এবং আবার উপরিউক্ত পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।
হৃৎপিণ্ড কার্যত একটি সিনশাইসিয়াম, অর্থাৎ হৃৎপেশীর একটি বুনানি যারা পরস্পর সাইটোপ্লাজমিয় সংযুক্তি দিয়ে সংযুক্ত। ফলে বৈদ্যুতিক সংকেত
একটি কোষে পৌছালে তা দ্রুতগতিতে সকল কোষে পৌছে যায় একং পুরো হৃৎপিণ্ড তখন একসাথে সংকুচিত হয়। এটা হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ক্রিয়া,
আর এর ব্যাঘাত ঘটলেই ঘটে বিপদ।
হৃদরোগ এর ধরণঃ-
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক কার্ডিওভাসকুলার রোগের একটি অংশ। হৃদরোগ পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মৃত্যুর প্রধান কারণ।
এই রোগগুলি আপনার হৃদয় এবং রক্তনালীগুলিকে প্রভাবিত করে। স্ট্রোক হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ পেতে পারে না।
এটি ঘটে কারণ মস্তিষ্কের দিকে পরিচালিত এক বা একাধিক রক্তনালী ব্লক হয়ে গেছে বা ফেটে গেছে।
কার্ডিওভাসকুলার রোগের অন্যান্য রূপের মধ্যে রয়েছে হার্ট অ্যাটাক এবং করোনারি হার্ট ডিজিজ ((atherosclerosis)।
হৃদরোগ এর অন্যান্য প্রকারঃ-
- ST সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (SEMI):- এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকের জন্য তাৎক্ষণিক ভাবে জরুরী রিভাসকুলারাইজেশন প্রয়োজন যা ধমনীতে রক্ত প্রবাহ পুনরুদ্ধার করে থাকে। এই রিভাসকুলারাইজেশনটি হয় থ্রম্বোলাইটিক্স (ক্লট বাস্টার) আকারে ওষুধের মাধ্যমে অর্জন করা হয়। যা শিরাপথে দেওয়া হয় এবং বা যান্ত্রিকভাবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে – একটি চিকিৎসা যা বন্ধ ধমনী খুলতে ক্যাথেটার নামে পরিচিত পাতলা, নমনীয় টিউব ব্যবহার করে।একটি ST-সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (STEMI) হল হার্ট অ্যাটাকের একটি গুরুতর রূপ যেখানে একটি করোনারি ধমনী সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের পেশীর একটি বড় অংশ রক্ত গ্রহণ করতে অক্ষম হয়। “ST সেগমেন্ট এলিভেশন” একটি প্যাটার্নকে বোঝায় যা একটি ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রামে (EKG) দেখায়।
- নন-এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (NSTEMI):- একটি নন-এসটি সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এনএসটিইএমআই) হল এক ধরনের হার্ট অ্যাটাক যা ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রামে এসটি সেগমেন্টের উচ্চতায় কোনো পরিবর্তন দেখায় না এবং এর ফলে রোগীর হার্টের কম ক্ষতি হয়। যাইহোক, এই রোগীরা তাদের রক্তে ট্রপোনিন নামক একটি প্রোটিনের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করবে যা হৃদপিণ্ডের পেশী থেকে নিঃসৃত হয় যখন এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। NSTEMI হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে, কোনো করোনারি ধমনী ব্লকেজ আংশিক বা অস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- করোনারি স্প্যাজম বা অস্থির এনজাইনা।:- করোনারি আর্টারি স্প্যাজম হল যখন ধমনীর প্রাচীর শক্ত হয়ে যায় এবং ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহ সীমিত হয় – সম্ভাব্যভাবে বুকে ব্যথা হতে পারে, বা রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় – যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়। করোনারি ধমনীতে খিঁচুনি আসে এবং যায়।করোনারি আর্টারি স্প্যাজমের চিকিৎসায় নাইট্রেট এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার জাতীয় ওষুধ থাকে।
হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট অ্যাটাক। তারা কি একই?
যদিও বেশিরভাগ লোকেরা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট অ্যাটাক শব্দগুলিকে একই ভাবে ব্যবহার করে, তবে তারা একই নয়।
এই উভয় অবস্থাই প্রাণঘাতী কিন্তু এই দুটির মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারলে অনেক জীবন বাঁচাতে পারে। আসুন আমরা গভীরভাবে
অনুসন্ধান করি এবং উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করি।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?
কিছু উদাহারণ ব্যবহার করে দুটির মধ্যে পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করি। আপনার (Heart) হৃদয়কে একটি ঘর হিসাবে বিবেচনা করুন।
একটি বাড়িতে বৈদ্যুতিক সরবরাহ এবং জল সরবরাহ উভয়ই রয়েছে। বৈদ্যুতিক সরবরাহে (হার্টের ছন্দ) যে কোনও ব্যাঘাত হৃদরোগের
কারণ হতে পারে, যখন জল সরবরাহে (রক্ত প্রবাহ) কোনও ব্যাঘাত হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
এখনও বিভ্রান্ত? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
হার্ট অ্যাটাক কি?
কল্পনা করুন হৃদয় একটি ঘর। প্রতিটি বাড়ির মতো এখানেও পানি আনতে পাইপ লাগে। হার্টের ক্ষেত্রে,
এই পাইপগুলি করোনারি ধমনী এবং জল হল রক্ত। এখন কল্পনা করুন যে কোন কারণে, এই পাইপের (করোনারি ধমনী) একটি
ব্লকেজ আছে। এই ব্লকেজগুলি হার্টে রক্ত সরবরাহের সাথে আপস করবে। এখন হৃৎপিণ্ডের পেশী পর্যাপ্ত
অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পায় না এবং অবনতি (হার্ট অ্যাটাক) শুরু করে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কি?
এখন আমাদের বাড়ির কর্মীরা চালানোর জন্য শক্তি প্রয়োজন। একইভাবে, আমাদের হৃৎপিণ্ডের তার পাম্পিং
কার্যকলাপ চালানোর জন্য শক্তি প্রয়োজন। এই শক্তি হার্টের অন্তর্নির্মিত বৈদ্যুতিক পরিবাহী ব্যবস্থা থেকে আসে। উচ্চ রক্তচাপের মতো
অবস্থা, উচ্চ কোলেস্টেরল,
অথবা পূর্ববর্তী হার্ট অ্যাটাক এই বৈদ্যুতিক সিস্টেমের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে যার ফলে হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত ছন্দ
(অ্যারিথমিয়া) হয়। এর কারণে হৃৎপিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে এবং ফুসফুস ও
মস্তিষ্কের মতো অন্যান্য অঙ্গে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ ও লক্ষণগুলি কী কী?
হার্ট অ্যাটাকের সময়, রোগীরা প্রায়ই সচেতন থাকে। হার্ট অ্যাটাকে রক্ত চলাচলে বাধা থাকলেও কিছু
সঞ্চালন হয়।
ফলে রক্ত মস্তিষ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে যেতে থাকে, রোগীকে সচেতন রাখে।
হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ হল
- বুকে ব্যাথা
- বমি বমি ভাব
- শ্বাস কষ্ট
- পেট, চোয়াল, ঘাড় বা বাহুতে ব্যথা বা চাপ অনুভব করা
- ঘাম
- দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ এবং লক্ষণগুলি কী কী?
হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (SCA) রোগীরা সাধারণত মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাতের
কারণে মিনিটের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায়। প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় নেই।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্মুখীন হওয়া রোগীদের পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে,
অন্যদের নিম্নলিখিত হতে পারে:
- মুখের নীলাভ বিবর্ণতা
- তীব্র শ্বাসকষ্ট
- বুকে ব্যাথা
- মাথা ঘোরা
- ক্লান্তি এবং অস্থিরতা
[সুত্রঃ]
হৃদরোগ এর সম্ভাব্য কারণসমূহ নিমরুপ
মায়াজমেটিক কারণ : সোরা , সাইকোসিস .
আনুসাঙ্গিক কারণ :
- অ্যালকোহল আসক্তি,
- উচ্চ রক্তচাপ,
- ধূমপান এবং ক্যাফেইন আসক্তির কারণে ঘটে।
- স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা
- কিছু ধরণের ওষুধ- যেমনঃ এন্টিবায়োটিক ।
- বংশগত (দাদা-দাদী, নানা-নানী, চাচা-ফুপু, মামা-খালা, মা-বাবা, ভাই-বোন, বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে- শশুর-শাশুড়ী, স্বামী) কারো থাকলে আপনার হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- আপনার হৃদরোগের উচ্চ জেনেটিক প্রবণতা থাকতে পারে।
- বয়সঃ- বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনি হৃদরোগের প্রবণতা বেশি। 55 বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের এবং 45 বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
- আফ্রিকান আমেরিকান এবং দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে হৃদরোগের প্রকোপ বেশি। পূর্ব এশিয়ান এবং হিস্পানিক আমেরিকানদের হৃদরোগের সম্ভাবনা কম।
- লিঙ্গ -একটি ঝুঁকির কারণ কারণ পুরুষ এবং মহিলারা ভিন্নভাবে ঝুঁকি অনুভব করেন। যদি একজন মহিলার ডায়াবেটিস থাকে তবে এটি একজন পুরুষের ডায়াবেটিস থাকলে তার তুলনায় তার হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।
ক্লিনিক্যাল ফিচার -
- বুকের মাঝখানে বিশেষ করে বামদিকে হৃৎপিণ্ড স্থানে ব্যাথা প্রকাশ পায়।
- সাধারণত ব্যাথা হঠাৎ আরম্ভ হয়।
- দীর্ঘদিন যাবত বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি।
- বাহুতে, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে বা উপরের পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি।
- নিঃশ্বাসের দুর্বলতা ।
- বমি বমি ভাব , বমি।
- হালকা মাথা খারাপ লাগছে।
- ঠান্ডা ঘাম।
- হঠাৎ মুখ, বাহু বা পায়ে অসাড় বা দুর্বল বোধ করা - বিশেষ করে শরীরের একপাশে।
- হঠাৎ বিভ্রান্তি, কথা বলতে বা বুঝতে সমস্যা হওয়া।
- হঠাৎ এক বা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া।
- হঠাৎ হাঁটতে সমস্যা হওয়া, মাথা ঘোরা, বা আপনার ভারসাম্য বা সমন্বয় হারানো।
- হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড মাথাব্যথা হওয়া।
Investigation (রোগানুসন্ধান) :
- Blood CBC with ESR :-
- BP (Blood pressure) :-
- Lipid Profile :-
- ECG :-
- Angiogram :-
- CT scan of Brain :-
- CT scan of Heart :-
- RBS :-
- FBS :-
- GTT :-
জটিলতা (Complication):
- উচ্চ রক্তচাপ।
- রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া।
- অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা বেড়ে যাওয়া।
- দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা।
- দেহের কোন অংগ অবশ বা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া।
- রক্ত জমে গিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে মৃত্যু।
ভাবীফল (Prognosis):
যদি চিকিৎসা যথোপযুক্ত হয় তবে রোগীর জীবন ভালোভাবে কেটে যাবে। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। অন্যথায় রোগীর বিকলাঙ্গ (প্যারালাইসিস), দীর্ঘদিন যাবত বিছানায় পড়ে থাকা, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
ব্যবস্থাপনা (Management):
মেডিসিন (Medicine): রাওয়ালফিয়া সারপেন্টিনা, বেলেডোনা, ফেরাম ফস, ক্যাল্কেরিয়া, টিউবারকুলিনাম, ফস্ফরাস, রোডোডেন্ড্রন, ক্রেটিগাস অক্স, ইত্যাদি সহ যে কোনো ওষুধ লক্ষণ
সাদৃশ্য ব্যবহার করা যায়।
এছাড়াও নিম্নোক্ত ঔষধ সমুহ লক্ষ্ণ অনুযায়ী প্রয়োগ করা যায়ঃ
%**%**%**%****%**%
১।অ্যাকোনাইট:
২।অ্যানাকার্ডিয়াম।
৩।এপিস মেল।
৪।আর্জেন্টাম নাইট।
৫।আর্সেনিক।
৬।অরাম মেট।
৭।ক্রোমিয়াম।
৮।ক্যাকটাস গ্র্যান্ডি।
৯।ক্যালকেরিয়া কার্ব।
১০।কলচিকাম।
১১।কনভ্যালেরিয়া।
১২।এডোনিস ভার্লানিস।
১৩।লাই কোপাস।
১৪।কলিন সোনিয়া।
১৫।ক্র্যাটিগাস
১৬। ডিজিটালিস।
১৭। জেল সিয়াম।
১৮।অ্যাপোসাইনাম।
১৯।গ্লোনয়েন
২০। ক্যালি কার্ব।
২১।ক্যাল মিয়া।
২২। রাস টক্সি।
২৩। ফাইটোলক্কা।
২৪।ল্যাকেসিস
২৫। ক্যালরি আয়োড।
২৬।ন্যাজা।
২৭।লিডার।
২৮। লিলিয়াম ট্রিগিনাম।
২৯। লিথিয়াম কার্ব্ব।
৩০। নেট্টাম মউর।
৩১। নাক্স ভূমিকা।
৩২।ফস্ফরাস।
৩৩।পালসেটিলা।
৩৪। স্পাইজেলিয়া।
৩৫।স্পঞ্জিয়া।
৩৬।সালফার।
৩৭। জিঙ্কাম। ইত্যাদি।
স্ট্রোকের জন্য কিছু ঔষধ সমূহের Repartory বিবরণী
মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চয় ; মানসিক দুশ্চিন্তায় মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চয়
প্রতিরোধ এর উপায় :
- ধূমপান ত্যাগ।
- স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাস।
- ব্যায়াম করা।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ।
- মদপান পরিহার।
সংকলনে-
-
Homeopathy Chembers TEAM